আলো নয়, আলেয়া
এ ক’দিনে কমলার রূপের খ্যাতি মিঠেখালি গ্রামের গণ্ডি ছাড়িয়েছে, সেটা এক রকম জানাই ছিল। কিন্তু সে খ্যাতি যে এত দূর পর্যন্ত পৌঁছেছে তা ধারণা করেননি শরীফ মাতব্বর নিজেও। আষাঢ় মাসে কাঁঠাল পাকে। বাতাসে ছড়ায় তার গন্ধ। গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে দশ দিক থেকে ঊর্দ্ধশ্বাসে ছুটে আসে মাছিরা। দলে দলে। ঝাঁকে ঝাঁকে। ভনভন করে পাকা কাঁঠালের চারিপাশে। নাচগান করা মেয়েমানুষের রূপ জিনিসটাও অনেকটা একই রকমের। সে রূপের খ্যাতি ছড়ায় বাতাসে- কাঁঠালের মন উচাটন করা গন্ধের মতো, টেনে আনে পুরুষের ঝাঁক। দূর-দূরান্ত থেকে। পুরুষগুলো ভনভন করে তার চারিপাশে। তখন পুরুষে আর মাছিতে খুব বেশি তফাৎ থাকে না। মিঠেখালি গ্রামে ঢোকার মুখে খানিকটা খোলা জায়গা। সেখানে বড় প্যাণ্ডেল করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহ প্রতিরাতে চলছে সেখানে পুতুলনাচ। প্যাণ্ডেলের মধ্যে দক্ষিণপাশে একটা ছোট মঞ্চ করা হয়েছে। তার একপাশে তোলা হয়েছে দু’টো অস্থায়ী ঘর। ওখানে থাকে পুতুলনাচদলের জনা আষ্টেক সদস্য। কমলা ওদেরই একজন। অবশ্য কমলা ছাড়াও আর একটা মেয়ে রয়েছে এই দলে। কিন্তু রূপের বিচারে সে মেয়েটি যেন কমলার বা’ হাতের কড়ে আঙুলের ছোট্ট নখটারও যোগ্য নয়। তাই তাকে নিয়ে মাতা